শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:১৬ অপরাহ্ন
বরগুনা প্রতিনিধি: বরগুনার পাথরঘাটায় মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন এলজিইডির আয়রন ব্রিজটি ভেঙে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। ব্রিজটি ভেঙে যাওয়ায় পাশে সোনার বাংলা মাধ্যমিক বিদ্যালয়, শতকর সোনার বাংলা প্রাথমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রসা, কলেজের শতাধীক ছাত্র-ছাত্রীসহ প্রায় দেড় হাজার মানুষের চলাচল বন্ধ হয়ে দেখা দিয়েছে চরম দুর্ভোগ।
শনিবার (২৩ মার্চ) সকাল দশটার দিকে উপজেলার হলতা নদীর খালের ওপর এলজিইডির আয়রন ব্রিজটির মাঝের অংশ ভেঙে এ দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনার পর বাল্কহেডের চালক ও তার সহকারীরা সাঁতরে তীরে ওঠেন। এ দুর্ঘটনায় কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে সেতুর ভাঙা অংশ বাল্কহেডের ওপরে পড়লে বাল্কহেডটি চাপা পড়ে যায়।
স্থানীয় ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ব্রিজটি আগে থেকেই জরাজীর্ণ ছিল। এলজিইডি কর্তৃক জোড়াতালি দিয়ে জনচলাচল স্বাভাবিক রেখে ছিল। শনিবার একটি মালবাহী (বালুভর্তি) কার্গোর ধাক্কা লেগে ব্রিজের মাঝের অংশ ভেঙে পড়ে এবং কার্গোটি আটকে যায়। এতে স্কুলের ছাত্রছাত্রীসহ দুই পারের বাসিন্দাদের পারাপার বন্ধ হয়ে গেছে।
স্থানীয় বাসিন্দা নাঈম তালুকদার জানান, অদক্ষ কার্গো চালকের অসতর্কতায় দুর্ঘটনাটি ঘটেছে। এখন প্রায় ২ কিলোমিটার পথ ঘুরে স্কুলে আসতে শিক্ষার্থীসহ স্থানীয় লোকজনকে ভোগান্তির শিকার হতে হলো। ব্রিজটি ভেঙে পড়ায় দুই পারের বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। আটকে থাকা কার্গোটির চালক-শ্রমিকরা সটকে পড়েছেন।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত শনিবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত কার্গোটি ভেঙে পড়া ব্রিজের বিম ও অ্যাংগেলের সঙ্গে আটকে রয়েছে। তবে ঘটনায় এলজিইডি বা উপজেলা প্রশাসনের কাউকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখা যায়নি।
পাথরঘাটা উপজেলা প্রকৌশলী চন্দন কুমার চক্রবর্তী বলেন, বরাদ্ধের ফান্ড না থাকায় দ্রুত কোনো ব্যবস্থা নেওয়া যাচ্ছে না। ব্রিজটির ক্ষয় ক্ষতি দেখে প্রাক্কলন তৈরি করে বরাদ্দের জন্য উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের বরাবর প্রেরণ করা হবে। বরাদ্ধ পেলে দ্রুত সংস্কার করা যাবে।
এ বিষয়ে পাথরঘাটা উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. রোকনুজ্জামান খান মুঠোফোনে বলেন, ব্রিজটি কোন সংস্থা করেছে খোজখবর নিয়ে দ্রুত সংস্কারে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আমরা খোজ খবর নিচ্ছি, মালবাহী কার্গোর ধাক্কায় ক্ষতিগ্রস্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
Leave a Reply